কি সেবা কিভাবে পাবেন ?
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স গাজীপুর সদর এর প্রদত্ত সেবা দুই ধরনেরঃ-
১) প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক সেবা সমূহ
২) মাঠ পর্যায়ে মাঠকর্মীদের দ্বারা প্রদত্ত সেবা সমূহ
১ । প্রতিষ্ঠান ভিাত্তক সেবা সমুহ বর্হিঃ বিভাগে আগত রোগীদের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সংক্রামত্ম সেবা সমূহঃ
ক) স্বাস্থ্য সেবা
· প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা
· শিশু স্বাস্থ্য সেবা
· সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্র্ন সেবা
· সীমিত নিরাময়মুলক সেবা
· বি.সি.সি সেবা।
· অসংক্রামক রোগ নিয়ত্র্ন সেবা।
খ) পরিবার পরিকল্পনা সেবাঃ-
· জনম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি সেবা
· মায়েদের পুষ্টি সংক্রামত্ম সেবা
· বয়ঃসন্ধি কালীন স্বাস্থ্য সেবা
২ । মাঠ পর্যায়ে মাঠকর্মীদের ( স্বাস্থ্য সহকারী ,পরিবার কল্যাণ সহকারী. এএইচআই, এইচ আই,এফ পিআই) দ্বারা প্রদত্ত সেবা সমুহঃ
· টিকাদান কমৃসুচীঃ
· শিশুদে র জন্য মায়ের বুকের দুধ সংক্রামত্ম স্বাস্থ্য সেবা।
· মা ও শিশুদের জন্য ভিটামিন এ’’ ক্যাপসুল বিতরন।
· গর্ভবতী মায়েদের তালিকা প্রস্ত্তত
· গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের প্রসবের জন্য প্রেরন
· গর্ভবতী মায়েদের প্রশিÿÿত দাই(সি,এস,বি,এ) দ্বারা প্রসব করানো।
· নবজাতকের যত্ন সংক্রামত্ম সেবা।
· ডায়রিয়া আক্রামত্ম রোগীদের মাঝে ও.আর.এস( খাবার স্যালাইন) বিতরণ।
· পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির সামগ্রী বিতরণ।
· এন,সি,ডি( আর্সেনিকোসিস, ডায়াবেটিস,উচ্চরক্তচাপ,ক্যান্সার) সার্চিং প্রোগ্রাম।
সেবা কেন্দ্র সমুহঃ
· কমিউনিটি ক্লিনিক
· এইচ,এন্ড.এফ.ডবিস্নউ.সি
· ইউনিয়ন সাব-সেন্টার
· উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স ( শুধু মাএ প্রশাসনিক কার্যক্রম,হাসপাতাল সার্ভিস নাই)
সেবার ধরণ | সেবাগুলো | সেবা প্রদান / প্রাপ্তিতে অসুবিধা সমূহ | |
নাগরিক পর্যায়ে | সরকারী পর্যায়ে | ||
বহিঃবিভাগীয় ও জরুরী চিকিৎসা সেবা |
|
| · সব পর্যায়ের জনবল পদায়ন করতে না পারা · সব বিষয়ের বিশেষজ্ঞ পদায়ন করতে না পারা. · সরকারী অন্যান্য বিভাগের মতো সংগ্রহ ও বিতরণ নিতিমালার কারনে সময়মতো সংগ্রহ ও রোগীদের সরবরাহ করতে না পারা (স্বাস্থ্য বিভাগের জন্য বাস্তব সম্মত পৃথক নীতি মালা প্রয়োজন) · নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকা। |
অন্ত বিভাগীয় চিকিৎসা সেবা | · অন্তঃবিভাগে ভর্তি করে সরাসরি চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা প্রদান, · পথ্য প্রদান · নার্সিং সেবা প্রদান · চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ | · উপজেলায় ডাক্তার অবস্থান না করা / চিকিৎসকগণের দেরীতে / অনুপস্থিতি সময় মতো যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়া। · সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে না পারা
| · সব পর্যায়ের জনবল পদায়ন করতে না পারা · সব বিষয়ের বিশেষজ্ঞ পদায়ন করতে না পারা. · সরকারী অন্যান্য বিভাগের মতো সংগ্রহ ও বিতরণ নীতিমালার কারণে সময়মতো সংগ্রহ ও রোগীদের সরবরাহ করতে না পারা (স্বাস্থ্য বিভাগের জন্য বাস্তব সম্মত পৃথক নীতি মালা প্রয়োজন) |
ঔষধ সরবরাহ | · অন্ত বিভাগীয় ও বহিবিভাগীয় রোগীদের হাসপাতালে এভ্যাইলবেল ঔষধ সরবরাহ ও প্রয়োগ | সকল জরুরী ও প্রয়োজনীয় ওষুধ এভ্যাইলএবল না থাকাতে বাহির থেকে ক্রয় করা ও সময়মতো না পাওয়া | · চাহিদা নির্ভর সংগ্রহ বিতরণ নীতিমালা না থাকা · উপর মহল থেকে বাস্তবতা বর্জিত সংগ্রহ ও সরবরাহ পাওয়ার কারণে যথাযথ ওষুধ সরবরাহ |
রোগ প্রতিষেধক টিকা প্রদান কার্য ক্রম (সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচী) | · ০-১১ মাস বয়েসী শিশুদেরকে যক্ষা,ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টংকর, লতা কাশ, পোলিও, হেপাটাইটিস বি, হিমোঃ ইনফ্লুয়েনঞ্জা, হাম- এই ৮ রোগ রোগের প্রতিষেধক টিকা প্রয়োগ। | সঠিক তথ্য না পাওয়ার কারণে যথাযথ ভাবে সেবা পাওয়াতে হয়রানী হওযা।
| · ১৯৮৫ সালে গৃহীত প্রতি ৫০০০ জনগোষ্ঠির জন্য একজন স্বাস্থ্য সহকারী এই নিতিমালা অনুয়ায়ী লোক নিয়োগ অব্যাহত না থাকাতে সেবার ক্রমশতা বিঘ্নিত হওয়া। · প্রয়োজনীয় জনবল সব সময় পদায়ন / কর্মরত না থাকা । |
সমন্বিত শিশু রোগ চিকিৎসা সেবা | · সমন্বয়ের মাধ্যমে ০-৫ বছরের শিশুদের সকল সাধারন রোগ গুলো-জ্বর, ডায়রিয়া, এআরআই, কান পাকা, শিশু অপুষ্টি চিকিৎসা করা এবং মায়েদেরকে সঠিকভাবে বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রশিক্ষণ দেয়া | সঠিক তথ্য না পাওয়ার কারণে যথাযথ ভাবে সেবা পাওয়াতে হয়রানী হওযা।
| · চাহিদা অনুযায়ী সঠিক সংখ্যক প্যারামেডিকস ও নার্স না থাকা। · সময়মতো প্রয়োজনীয় ওষুধ ও লজিষ্টিক সরবরাহ না পাওয়ার কারণে সেবা বিঘ্নিত হওয়া। |
প্রজনন স্বাস্থ্য ও গর্ভাবস্থা পরিচর্য্যা প্রসব ও প্রসূতী সেবা
| · প্রজনন সক্ষম সকল মহিলাদেরকে ধনুষ্ঠংকারের টিকাদান ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনা। · রক্ত শুন্যতা রোধে প্রজনন সক্ষম সকল মহিলাদেরকে আয়রন+ফলিক এসিড বড়ি সরবরাহ। · সকল গর্ভবতীদের নিয়মিত চেকআপ / প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান ও রেফারেল, · প্রসব সেবা (প্রয়োজনে সিজার এবং জটিল প্রসবের ব্যবস্থা করা), প্রসবোত্তর সেবা · পরিকল্পিত পরিবার গঠনে পরামর্শ দিয়ে জন সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা। | · সঠিক তথ্য না পাওয়ার কারনে যথাযথ ভাবে সেবা পাওয়াতে হয়রানী হওযা।
· জরুরী এবং জটিল প্রসবের জন্য সার্বক্ষনিক ব্যবস্থা না থাকাতে সেবা প্রাপ্তিতে অসুবিধা।
| · রক্ষনশীল গ্রামীণ জনগণের হাসপাতালে গর্ভবতী সেবা গ্রহণে অনীহা. · সব সময় মহিলা সেবাদান কর্মী না থাকার কারণে পুরুষ সেবাদানকারীর নিকট সেবা গ্রহণে গ্রামীণ মহিলাদের অনিহা। · সার্বক্ষণিক ও জরুরী প্রসব সেবার জন্য প্রয়োজনীয় লজিষ্ঠিক সরবরাহ ও জনবল পদায়ন করতে না পারা। · মহিলা চিকিৎসক এবং সেবাদান কর্মীদের গ্রামে অবস্থান করার অনীহা |
সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রন কার্যক্রম | · ম্যালেরিয়া ও মশা বাহিত অন্যান্য রোগ নিয়ন্ত্রনের জন্য জনগনকে কিটনাশকে চুবানো মশারী সরবরাহ করা, · টিবি রোগী দের সনাক্ত করে কম্যুনিটি পয্যায়ে সরাসরি তত্ববধানে ওষুধ খাওয়ানো, এইডস রোগ বিস্তার রোধে মাধক সেবী, সেক্স ওয়ার্কার ও ভালনারেবল জনগোষ্ঠিকে প্রয়োজনিয় উপকরণ সরবরাহ করা · ফাইলেরিয়াসিস রোগ নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে শিশুদের কে বছরে ২ বার ক্রিমি নাশক খাওয়ানো | · এনজিও নির্ভর কর্মসুচীতে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠির অগ্রাধিকার না পাওয়া।
· যথা সময়ে সঠিক তথ্য না পাওয়ার কারণে যথাযথ ভাবে সেবা পাওয়াতে হয়রানী হওযা।
| সঠিক তথ্য নির্ভর পরিকল্পনার অভাবে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারা। |
স্বাস্থ্যকর আচরনে অভ্যস্থ করা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান | · উঠান বৈঠক, হাসপাতাল, কম্যুনিটি ক্লিনিকে আগত রোগী এবং রোগীর অভিভাবক অন্যদেরকে স্বাস্থ্যকর আচরন বিধি মেনে চলার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য বার্তা প্রদান। | শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব এবং দারিদ্রের কারনে স্বাস্থ্য সম্মত আচরণ বিধি মেনে চলতে না পারা। | যুগোপযোগী, প্রয়োজনীয় ও কার্যকর স্বাস্থ্য শিক্ষা উপকরণ (অডিও ভিজ্যুয়েল) এর সরবরাহ না থাকার কারণে স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যহত হওয়া। |
অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ করা | · আর্সেনিকোসিসে আক্রান্তদের খুজে আর্সেনিকযুক্ত পানির উৎস খুজে বের করা এবং সুপেয় আর্সেনিকমুক্ত পানির ববস্থা করা। | সঠিক তথ্য না পাওয়ার কারণে যথাযথ ভাবে সেবা পাওয়াতে হয়রানী হওযা।
| কর্মসূচী গুলো ধারাবাহিকতা না থাকার কারণে |
স্বাস্থ্য তথ্য সংগ্রহ এবং সংকলন | · গ্রাম ও প্রাতিষ্ঠানিক কার্যালযের সকল অসুস্থতার তথ্য সিস্টেমেটিকভাবে সংগ্রহ করাম সংকলন ও রেকর্ড করা · স্বাস্থ্য তথ্য তৈরী করে পলিসি মেকারদেরকে পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা |
| · প্রয়োজনীয় ও কার্যকর প্রযুক্তি এবং জনবল না থাকা · উপজেলা পর্যায়ে এপিডেমিও লজিষ্ট না থাকাতে স্থানীয়ভাবে সঠিক সময়ে তথ্যনির্ভর পরিকল্পনা গ্রহণে ব্যর্থতা |
দূর্যোগ উত্তর উদ্বুত স্বাস্থ্য সমস্যায় সাস্থ্য সেবা প্রদান | দূর্যোগ উত্তর উদ্বুত স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন আঘাত পাওয়া, পানিতে ডুবে যাওয়া, সাপে কাটা, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও অণ্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসা দেয়া। | · পরিকল্পনায় আমলাকান্ত্রিকতা এবং গ্রাম পর্যায়ে চিকিৎসকদের অনুপস্থিত থাকাতে দূর্যোগোত্তর পরিস্থিতিতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাৎক্ষণিক সেবা না পাওয়া। · দূর্যোগোত্তর পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সমস্যা বিষয়ে জনগণের সঠিক তথ্য না থাকা। | · দূর্যোগোত্তর পরিস্থিতিতে ব্যবহার্য গাড়ী বা পরিবহণ ব্যবস্থা না থাকাতে সেবা ব্যহত হওয়া। · দুর্যোগোত্তর স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধান পরিকল্পনায় আমলাকান্ত্রিক এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ।
|